প্রবাস রিপোর্ট: যতটুকু স্নো পড়বে বলে বলা হয়েছিল ঠিক ততটুকু না হলেও স্নো-স্টর্ম ‘স্টেলা’র কবলে পড়ে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিসহ বেশ কয়েকটি স্টেটের প্রায় ৩ কোটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় স্টেট -নিউইয়র্ক, নিউজার্সি পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া, বোস্টন, ফিলাডেলফিয়া, মেইনে ও কানেকটিকাটে প্রবল স্নো-স্টর্মের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এসব, স্টেটে মঙ্গলবার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়। বাতিল করা হয়েছে কয়েক হাজার ফ্লাইট। আবহাওয়ার এমন বিরূপ প্রভাবে েেপ্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের পূর্বনির্ধারিত বৈঠকও বাতিল করা হয়েছে। ঝড়ের কারণে জেএফকে এয়ারপোর্ট এবং লাগোডির্য়যা এয়ারপোর্ট বন্ধ রাখা হয়।
মঙ্গলবার ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে বয়ে যায় এই শীতকালীন ঝড় স্টেলা। এই ঝড়ের কারণে সিটিন নাগরিকদের জরুরী কাজ ছাড়া বাসার বাইওে বেরুতেও নিষেধ করা হয়। বাতিল হয়েছে ৭ হাজার ৬০০-এর বেশি ফ্লাইট। বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে পুরো নিউইয়র্ক। বিপদ এড়াতে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার অলটারনেটিভ পার্কি রুলসহ সকল পার্কি রুলস স্থগিত রাখা হয়। তবে প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে বরফ শক্ত হয়ে যাওয়ায় দূর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। প্রধান প্রধান স্ট্রিটগুলো পরিস্কার থাকলেও রাস্তার পাশে ও ওয়াকওয়েতে শক্ত বরফ উচূ পর্বত প্রমান আকার ধারণ করে। এই অবস্থায় একদিকে যেমন গাড়ি বের করা কঠিন হয়ে পড়ে অন্যদিকে পাকিং সমস্যা চরম আকার ধারন করে।
সিটি এবং আশপাশে ১০ থেকে ইঞ্চি পর্যন্ত স্নোর সাথে প্রায় ৪০ মাইল বেগে তুষার ঝড় বয়ে যায়। এদিকে, নিউইয়র্ক সিটিতে ৭ ইঞ্চি তুষারপাত হয় মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ । আবহাওংা বিদরা বলছেন, পূর্বাভাসকৃত তুষারঝড় তার দিক পরিবর্তন করে পশ্চিমে সওে যাওয়ায় নিউইয়র্ক সিটিসহ আশপাশের এলাকা বিপজ্জনক অবস্থা থেকে বেচে যায়।
গভর্ণর এন্ড্রু কুমো বলেছেন, প্রকৃতি আমাদের রেহাই দিয়েছে। তবে হাডসন ভ্যালিসহ উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৩০ ইঞ্চির মত বরফ জমেছে। নিউইয়ক পেনসিলভেনিয়া সীমানা বরাবরেও ২০ ইঞ্চি তুষারপাত হয়্। এসব এলাকার ২ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভার্জিনিয়া এবং নিউইংল্যান্ড এলাকাতে আরো দুই লাখ ১৫ হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।